‘জ্বিন’ আতঙ্কে সাভারের পোশাক কারখানায় হঠাৎ ২২ শ্রমিক অসুস্থ

নিউজ
সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানার ২২ শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিক ও নারী শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের দাবি টয়লেট থেকে ফিরে এসে জ্বিন আতঙ্কে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

শনিবার (৩ জুলাই) সকালের দিকে আশুলিয়ার বসুন্ধরা এলাকার ডংলিয়ান ফ্যাশন (বিডি) লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

বমি, মাথা ব্যথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ শ্রমিকদের মধ্যে ১২ জনকে হাবিব জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থ শ্রমিকরা হলেন- মাহফুজুল (২৭), আরিফ হোসেন (৩০), মোশারফ হোসেন (২৭), সৌরভ (২৫), আরিফা (২৫), মোছা. বেবী (২৫), আলেয়া (৩০), রিনা আক্তার (২৭), শ্যামলী (২৭) ও সার্জেন্ট (অব.) ইসমাইল (৬০)। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থায় গুরত্বর হওয়ায় তাদের রেফার্ড করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত রমজান মাস থেকে কারখানার ওই ফ্লোরে এই জ্বিন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগেও দুই-একজন এমন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানায়, সকালে প্রথম একজন নারী শ্রমিক অসুস্থ হন। এরপর তাকে হাসপাতালে রেখে আসতেই আরো অন্তত ১২ জন বমি ও মাথাব্যথার উপসর্গ নিয়ে কারখানার ভিতরে ফ্লোরে পড়ে যান। পরে তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ আবার এই সংখ্যাটা বেশি। প্রতিদিনতো একজন না একজন অসুস্থ হচ্ছেই। গত ১৫ দিন ধরে এই সমস্যা শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে হাবিব জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার বিল্লু দাস বাংলানিউজকে বলেন, একটি কারখানার বেশকয়েক জন শ্রমিককে অসুস্থ অবস্থায় আনা হয়েছে। ডাক্তাররা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। আসলে কি হয়েছে পর্যবেক্ষণের পর জানাতে পারবেন।

কারখানার এডমিন ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, কারখানায় যারা অসুস্থ হয়েছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রথম যিনি অসুস্থ হয়েছেন তার অবস্থা একটু খারাপ। ওই শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনার পর শ্রমিকরা সবাই আতঙ্কে বাসায় চলে গেছেন।

ডংলিয়ন ফ্যাশন (বিডি) লিমিটেড কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার আশরাফুল বলেন, আসলে কারখানায় একটু গরম বেশি। এ কারণেই এমন হতে পারে। তবে আমরা শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। কারখানা বন্ধ রেখেছি সবাইকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এমন সমস্যা প্রায় এই কারখানা হয়ে থাকে। আমরা অনেকবার বিষয়টি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি তারা কোনো গুরুতই দেয়নি। তারা শ্রমিকদের মারার চেষ্টা করছে। বিষয়টি তদন্তে করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

সূত্র: সময় টিভি, বাংলানিউজ, দ্য ডেইলি স্টার, রাইজিং বিডি

শেয়ার করুন