গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল শিল্পের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। হয়তো এ লড়াইয়ে কেউ টিকে থাকবে, আবার কেউ ছিটকে বেরিয়ে আসতে হবে। কিন্তু এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে সবাইকে।
একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ১৯৭৮ সালের ২৯শে জুলাই দৈনিক ইত্তেফাক দ্বারা ধারণ করা হয়েছিল। রিয়াজউদ্দিন শার্টের প্রথম কার্টনটি হস্তান্তর করেন যা রপ্তানির জন্য প্রস্তুত এবং বাংলাদেশ থেকে প্রথম আরএমজি তৈরি পোশাক রপ্তানির ইতিহাস চিহ্নিত করে টিসিবি চেয়ারম্যান জনাব মনিরুজ্জামানের কাছে। সেই শুভ মুহুর্তে জনাব রিয়াজ টিসিবির সকল সদস্যকে রিয়াজ গার্মেন্টস উর্দু রোডে তার ছোট কারখানাটিতে আমন্ত্রণ জানান।
আমি মনে করি এটি তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প হওয়া উচিত। বিশেষ করে যারা কোভিডের পরে হতাশ। ১৯৭৮ এ রিয়াজউদ্দিন এমন কিছু শুরু করার জন্য যথেষ্ট সাহস দেখিয়েছিলেন, যখন তার কোনও সেটআপ ছিল না, যা ব্যবসার বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ১৯৮০ -এর দশকে যাত্রা শুরু করে এবং আজকের অবস্থানে এসেছে। প্রয়াত নূরুল কাদের খান ছিলেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের পথিকৃৎ। কীভাবে দেশকে বদলে ফেলা যায় তার স্বপ্ন ছিল।
এখন আমাদের কাছে যথেষ্ট মেধাবী এবং গতিশীল লোক রয়েছে। ব্যবসা করার জন্য সরকারী নীতির সমর্থন রয়েছে এবং শিল্পটি সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট পরিপক্ক।
স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা ইতিমধ্যে তাদের উৎপাদন ইউনিটগুলিকে রূপান্তর করতে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, এবং বাংলাদেশ আরএমজি ইন্ডাস্ট্রি-কে একটি গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সোর্সিংয়ের জন্য গ্লোবাল হাব সাড়া বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করেন।
অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশে, অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি, বাংলাদেশ-এর মতো উদ্যোগের পর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সবুজ কারখানা বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টরে। এখন কারখানার নিরাপত্তা এবং মূল্য-শৃঙ্খল দায়িত্বের বিষয়ে একটি অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং অনুগত শিল্পে রূপান্তরিত হয়েছে। আরএমজি শিল্প টেকসই পোশাক উৎপাদনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তাই আমাদের আমাদের আশা হারানো উচিত নয়। একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। হয় তো এ লড়াইয়ে কেউ টিকে থাকতে পারবে আবার কেউ ছিটকে বেরিয়ে আসতে হবে কিন্তু এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে সবাইকে।
লিখেছেন:
সালাউদ্দিন, বুনন