দেশের গার্মেন্টস খাতে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ১৫.৬ শতাংশ। তবে এর মধ্যে ব্যবস্থাপনার ৮৪ শতাংশ শ্রমিকই বিদেশি। এছাড়া পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যও ক্রমশ কমেছে— এমন তথ্য উঠে এসেছে এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) এক জরিপ প্রতিবেদনে। শনিবার (৬ মার্চ) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
‘এ সার্ভে রিপোর্ট অন দ্যা গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের গার্মেন্টস খাতে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ১৫.৬ শতাংশ। তবে এর মধ্যে ব্যবস্থাপনার ৮৪ শতাংশ শ্রমিকই বিদেশি। মার্চেন্ডাইজিংয়ে ৮ শতাংশ, টেকনিক্যাল অপারেশনে ১৬ শতাংশ, কাটিং ও ডিজাইনিংয়ে ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য পদে ৮ শতাংশ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছে।
এছাড়া, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের ব্যবধানে দেশের পোশাক খাতে বছরে শ্রমিক বৃদ্ধির হার মাত্র ১.০৭ শতাংশ। এরমধ্যে পুরষ শ্রমিকের বৃদ্ধির সংখ্যা ৪ শতাংশ। বিপরীতে নারী শ্রমিক কমেছে ০.৭ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৫ সালে পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯১ হাজার থাকলেও ২০২০ সালে তা নেমে এসেছে ২৪ লাখ ৯৮ হাজারে।
জরিপের তথ্য বলছে, দেশে পাঁচ বছরে পোশাক খাতে নারী শ্রমিক কমেছে ৯৩ হাজার।
এদিকে, গার্মেন্টেসে ৭৪ শতাংশ শ্রমিকই বিবাহিত, ২৫ শতাংশ শ্রমিক অবিবাহিত এবং ১ শতাংশ শ্রমিক বিবাহের পরও আলাদা থাকেন। একইসঙ্গে শ্রমিকদের মধ্যে ২৭.৯ শতাংশ পুরুষ এসএসসি কিংবা এইএচসি পাস করেছেন। আর নারীদের মধ্যে এই হার ১৫.৪ শতাংশ। ৪.৮ শতাংশ পুরুষ শ্রমিকের ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে, নারীদের মধ্যে এই হার ১.৫ শতাংশ।
৪০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
এক হাজারের বেশি শ্রমিকের ওপর এই জরিপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসিডি’র বিভিন্ন কর্মকর্তা ও পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।