প্রয়োজনে ছোট বড় করা যাবে পোশাক!

গবেষণা

নতুন জামা-কাপড় পরতে না পরতেই বড় হয়ে যাচ্ছে সন্তান। সব বাবা-মায়েরই রয়েছে এমন অভিজ্ঞতা। ঠিক এ কারণেই অপচয় হয় বহু কাপড়।  কিন্তু শিশুর বেড়ে ওঠার সাথে যদি পোশাকও বড় হয় তাহলে কেমন হয়? এমনই এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা রিয়ান ইয়াসিন। তার উদ্ভাবিত বিশেষ ধরণের কাপড় বড়-ছোট করা যাবে প্রয়োজন অনুযায়ী। ব্যবহার করা যাবে কয়েক বছর।

শিশু ছোট হলেও তার পোশাক কেনার খরচ বাবদ সাধারণত মানুষের জন্য নেহায়েত কম নয়। অথচ কিছু দিন পরই বাতিলের খাতায় চলে যায় সেই পোশাক। কারণ চোখের পলকে বাড়তে থাকে শিশুরা। দুই বছর বয়সের মধ্যে অন্তত সাত বার পরিবর্তন হয় পোশাকের মাপ। তাই খুব দ্রুত পরিধানের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বহু পোশাক।

এমন চিন্তা থেকেই অভিনব উদ্যোগ ব্রিটিশ তরুণ রিয়ান ইয়াসিনের। তার লন্ডন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পেটিট প্লি তৈরি করেছে এমন এক ধরণের কাপড় যা বাড়ানো কমানো যাবে প্রয়োজন অনুযায়ী।

রিয়ান ইয়াসিন বলেন, ” আমার এক বার ভাগ্নীর জন্য পোশাক কিনে ডেনমার্কে পাঠিয়েছিলাম। তবে সে বড় হয়ে যাওয়ায় তা আর পড়তে পারে নি। তখনই মাথায় আসে এ বিষয়ে কিছু করা যায় কিনা।”

শুধু কপড়ের স্থায়ীত্ব বা আর্থিক দিক নয়, কিভাবে দূষণ থেকে পরিবেশ রক্ষা করা যায় সেটাও ছিল রিয়ানের ভাবনায়। এরোনটিক্যল ইঞ্জিনিয়ার রিয়ানকে পেশাগত কারণে চর্চা করতে হতো জাপানি নন্দন শিল্প অরিগামির। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করেন এ ধরণের কাপড়।

রিয়ান ইয়াসিন আরো বলেন, “ছোট ছোট স্যাটেলাইট ডিজাইনের সময় অরিগামি পদ্ধতি অনুসরণ করতাম। অর্থাৎ যাতে ভাজ করে ঢোকানো যায়। কাপড়টি তৈরিতেও প্রধান অনুপ্রেরণা ছিল অরিগামি।”

একটি পোশাক পরিণত করা যায় সাতটি আলাদা মাপে। তাই অনায়াসে পড়া যায় তিন বছরের বেশি সময়। ৮০ ডলার থেকে শুরু এগুলোর দাম।

সূত্র: যমুনা টিভি

শেয়ার করুন