আসন্ন বাজেটে টেক্সটাইল স্পিনিং মিলে ব্যবহৃত সব ধরনের ফাইবারকে শুল্কমুক্তভাবে আমদানির বিধানসহ সব ধরনের সুতার ওপর সমহারে মূসক নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত সব ধরনের কাঁচামাল অথবা ফাইবারকে শুল্ক ও করমুক্তভাবে আমদানির সুবিধা দিতে হবে। পাশাপাশি ফাইবার দ্বারা তৈরি সব ধরনের সুতার ওপর ৩ টাকা মূল্য সংযোজন কর ধার্য এবং টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে ব্যবহৃত যাবতীয় যন্ত্রাংশের ওপর ক্যাপিটাল মেশিনারির অনুরূপ ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করার আহ্বান জানান।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতের স্পিনিং মিলগুলোয় বর্তমানে কাঁচামাল হিসাবে কাঁচা তুলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফাইবার ব্যবহার হচ্ছে- এর মধ্যে পিএসএফ, ভিএসএফ, টেনসিল, স্পনডেক্স অন্যতম। আগামীতে হয়তো অন্য ফাইবার ক্রেতার অর্ডারে সুতা তৈরির জন্য ব্যবহার হবে। বর্তমানে শুধু সুতা তৈরির জন্য ওই ফাইবারগুলোই ব্যবহার হবে এমনও নয়। এ বিবেচনা থেকে উল্লিখিত ফাইবারসহ আরও যদি কোনো ফাইবার দ্বারা সুতা হয়, সেসব ফাইবারের ওপর থেকেই যাবতীয় শুল্ক ও কর প্রত্যাহার প্রয়োজন, যা বর্তমানে শুধু কটন ফাইবার আমদানির ক্ষেত্রেই বিদ্যমান রয়েছে। একই সঙ্গে সব ধরনের সুতা তা যে কোনো ফাইবার দ্বারাই তৈরি হোক না কেন, তার ওপর মূসক ধার্য করা অত্যাবশ্যক। বর্তমানে শুধু কটন সুতার ওপর ৩ টাকা ধার্য রয়েছে।
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, টেক্সটাইল খাতের স্পিনিং, ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ও ডাইয়িং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিলে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আমদানি করা যন্ত্রাংশকে ১ শতাংশ শুল্কে ক্যাপিটাল মেশিনারিজের অনুরূপ আমদানির বিধান করতে হবে। প্রাইমারি সেক্টরের স্পিনিং, উইভিং ও ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিল এবং তৈরি পোশাক খাতে অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তি সম্পন্ন মেশিনারিজে সমৃদ্ধ। মূলত যেসব কোম্পানি থেকে মেশিনারিজ আমদানি করা হয়ে থাকে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওই মেশিনারিজ কোম্পানির কাছ থেকেই পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশও আমদানি করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের ওপর ২৬.২ থেকে ১০৪.৬৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ও কর ধার্য রয়েছে। শুল্ক ও কর প্রদানের মাধ্যমে আমদানি করা যন্ত্রাংশ কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলকভাবে পরিচালনা সম্ভব নয়। তা ছাড়া টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে অসংখ্য যন্ত্রাংশ ব্যবহার হয়। বিধায় প্রতিটির পৃথক এইচএস কোড উল্লেখ করে আমদানিও সম্ভব হয় না।
সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়