যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের বাজারে সুযোগ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। চীন ও ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তবে বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারেনি।
অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ১৯৯ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের বা ১৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি করেছেন। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ও ভিয়েতনামের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের রপ্তানি কমলেও চীনের রপ্তানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে চীন ৪৬৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে ভিয়েতনাম জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে ৪৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। গত বছরের একই সময়ে দেশটি ৪১৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। সেই হিসেবে চলতি বছর তাদের রপ্তানি বেড়েছে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বাজারের ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশই ভিয়েতনামের দখলে। চীনের ২৪ শতাংশ আর বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মতোই ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার পোশাক রপ্তানি কমেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ভারত ১৩৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করলেও তা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ১০ শতাংশ কম। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চতুর্থ সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারক। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি করেছে ১২৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের রপ্তানি কমেছে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
সূত্র: প্রথম আলো