অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা এবং প্রতিটি কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ এবং লাল পতাকা মিছিলে অংশ নিয়ে বক্তারা এ দাবি জানান।
সমাবেশে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে বর্তমানে প্রাপ্ত মজুরিতে কোনোভাবেই শ্রমিকদের সংসার চলে না। উৎপাদন এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী শ্রমিকদের অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। মালিকরা কখনোই শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্টকে বিবেচনায় নেয়নি এখনো তা নিচ্ছেন না। কেননা জীবনধারণ উপযোগী নিম্নতম মজুরি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন, জাতিসংঘের পুষ্টিমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের হিসাব এবং বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা হচ্ছে না। তাই মজুরি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ সরকার বা মালিক কারও দিক থেকেই পরিলক্ষিত নয়। বিধায় চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মজুরি বোর্ড গঠন করার জোর দাবি জানানো হয়।
শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু অতীব জরুরি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সব শ্রমিককে একই হারে মজুরি বৃদ্ধি এবং রেশনিংয়ের জন্য দেশব্যাপী প্রতিটি কারখানায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশে সংগঠনের সহসভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন—বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন—গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী শ্রমিক নেতা কামরুল আহসান ও আব্দুল ওয়াহেদ, আমিরুল হক আমিন, এমএ শাহীন, ইকবাল হোসেন, সাইফুল্লাহ আল মামুন, জয়নাল আবেদিন, জালাল হাওলাদার, কামরুল হাসান, জাহানারা বেগম, মো. মুনসুর আলী, সুমা আক্তারসহ অনেকে।
দাবি আদায়ে ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী বিভিন্ন গার্মেন্ট শিল্প এলাকায় সমাবেশ, মিছিল এবং পদযাত্রার কর্মসূচি পালিত হবে। এসব কর্মসূচি সফল করতে পোস্টারিং ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হবে। অতিসত্বর মজুরি বৃদ্ধি ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুতে কোনো গাফিলতি দেখলে জাতীয়ভিত্তিক গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন করে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।
সূত্র: কালবেলা