সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফর্ম পূরণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বুটেক্সের শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এ আসন্ন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হচ্ছে হলের ক্লিয়ারেন্স। ফলে শিক্ষার্থীদের ছুটতে হচ্ছে ক্যাম্পাসের বাইরে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ৩ টি আবাসিক হলে।

বুটেক্সের ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির ওসমানী, বুধবার (২০ জুলাই) আসন্ন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তিনি একজন অনাবাসিক শিক্ষার্থী, বুটেক্সের কোনো আবাসিক হলে থাকেন না এবং হলের কোনো সিটও তার নামে বরাদ্দ নেই। কিন্তু তারপরেও ফর্ম পূরণের পাশাপাশি দৌড়াতে হয়েছে ক্যাম্পাসের বাইরে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ৩ টি আবাসিক হলে। হলে না থাকা সত্বেও ছেলেদের সবগুলো হলে গিয়ে আনতে হয়েছে হল ক্লিয়ারেন্স। 

শুধু সাব্বির ওসমানীই নয়, এমন ভোগান্তির শিকার বুটেক্স ৪৪ এবং ৪৫ তম ব্যাচের সকল অনাবাসিক শিক্ষার্থী। হলে না থেকেও প্রত্যেক হলে গিয়ে ক্লিয়ারেন্স নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটা ভোগান্তির সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া লাইব্রেরি থেকে বই না নিয়েও এমনকি লাইব্রেরি কার্ড না থাকলেও নিতে হয় লাইব্রেরি ক্লিয়ারেন্স।

এই ব্যাপারে সাব্বির ওসমানী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশে যেখানে সবকিছু ডিজিটাল হচ্ছে, সেখানে আজও আমাদের পুরনো পদ্ধতিতে ফর্ম পূরণ করতে হয়। আগে তবুও ক্যাম্পাসে এসে হল ক্লিয়ারেন্স পেতাম কিন্তু এখন ৩ হলে যাওয়া লাগে যার দূরত্ব মোটেও কম না।”

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার আগে আবাসিক ছাত্রদের তালিকা প্রতি বিভাগে পাঠিয়ে দিলেই অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের এত ভোগান্তি পোহাতে হয় না। এছাড়া লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করা শিক্ষার্থীদেরও তালিকা থাকে। প্রশাসন চাইলেই এসব অহেতুক ভোগান্তি থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারেন।

এই বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার বিডিসমাচার কে জানান, “আমি আজকেই হল প্রভোস্ট কতৃক আবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিটি বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করব। ভবিষ্যতে যেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার ভোগান্তির শিকার না হতে হয় সেজন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

বিডি সমাচার২৪/সাবাইম ইসলাম

শেয়ার করুন